Uncategorized

আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খামার করার নিয়ম

আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর হওয়াটা সবসময়ই আপনাকে একটা ভিন্ন আনন্দ দেবে। সে আপনি যে  চাকরিই করুন না কেনো, একটি মুদীর ব্যবসা চালান, কাপড়ের দোকান চালান, হাঁস-মুরগীর খামার চালান, বা একটি গরুর খামারই চালান না কেনো।

আপনি কি একটি গরুর খামার করার কথা ভাবছেন এবং আপনার বিনিয়োগ কম? যদি তাই হয়, আপনার এই আর্টিকেলটি খুব ভালো লাগবে কারণ আমরা এখানে আপনি কিভাবে স্বল্প বিনিয়োগে বাংলাদেশে একটি গরুর খামার শুরু করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

বাংলাদেশে কি গরুর খামার লাভজনক?

বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ১৫,০০,০০০ গরুর খামার আছে। পশুসম্পদ সেবা বিভাগের মহা-পরিচালক আব্দুল জব্বার ১০ই জানুয়ারী ২০২১ সালে বলেছেন যে, এ খামারগুলোর মধ্যে মাত্র ৬টি বড় মাত্রার।

আমাদের দেশী জাতের গরুগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কম এবং প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৫ লিটার দুধ দেয় । আপনি যদি নতুন জাতের গরু পালন করতে পারেন, সেগুলো প্রতিদিন প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লিটার দুধ দিতে সক্ষম। গবেষণা বলছে যে, গরুর দুধ ছাড়ানো হার প্রায় ৮৫% অর্থাৎ আপনি আশা করতে পারেন যে, গরুর মধ্যে প্রায় ৮৫% বাছুরকে দুধ ছাড়ানো হয় এবং বিক্রি করা হয়। এসব ধারণার ওপর ভিত্তি করে এবং দুধ ছাড়ানোর হার হিসাব করার পর, একটি বাছুর থেকে রাজস্ব আসে গড়ে প্রায় ৫৭,৭৯৭ টাকা।

খামারীরা তাদের গরুর জন্য মোট পরিমাণ খাবার পায় বেশ উঁচু দামে। সেজন্য বাংলাদেশে গরুর খামার  উৎপাদনের ওপর লাভ খুবই কম। তবুও, দেশে দুধের দাম বেশ চড়া তাই এই দেশে গরুর খামার গড়ের ওপর লাভজনক।

আবার, বাংলাদেশে (গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগীসহ) মাংসের বার্ষিক চাহিদা হলো ৭.৩ মিলিয়ন টন। বাংলাদেশ আবার এর উৎপাদনের উদ্বৃত্ত পরিমাণ রপ্তানী করে। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসা সংঘের প্রেসিডেন্ট ফরিদ আহমেদের মতে, বাংলাদেশ প্রতি বছর হাড়, মাংস, অন্ত্র, চামড়া, এবং শিং বিদেশে রপ্তানী করে ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে, যদি গবাদি পশুগুলো ভালোভাবে লালন পালন করা হয় এবং পণ্যগুলো ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

সেজন্য, সর্বোপরি, আপনি গরুর খামারকে বাংলাদেশে লাভজনক বলতে পারেন।

কিভাবে বাংলাদেশে গরুর খামারের ব্যবসা শুরু করবেন: ধাপ থেকে ধাপ বিস্তারিত গাইড

আপনি বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশে, যে ব্যবসাই করুন না কেনো আপনাকে কিছু মূল বিষয় অবশ্যই জানতে হবে:

  •  আপনি আসলে কি করতে চান?
  • আপনি কিভাবে এটা করতে যাচ্ছেন? এবং
  •  আপনি কোন সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত ফলাফলটি পেতে চাচ্ছেন?

    আপনি কিভাবে এদেশে আপনার গরুর খামারের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন নিয়ে এগয়ে যাবেন তা জানতে চলুন নিচের আলোচনার দিকে একটু নজর দেই।

১. ব্যবসা পরিকল্পনা:

আপনার হয়তো মনে হতে পারে একটি দুগ্ধ খামার শুরু করতে তেমন কোনো ধরনের ব্যবসা পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাস্তবতাটা কিছুটা ভিন্ন কারণ আপনি যে ব্যবসাই করতে যান না কেনো, আপনার একটি ব্যবসা পরিকল্পনার প্রয়োজন। এই পরিকল্পনাটি আপনার জন্য একটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে যা আপনি অনুসরণ করতে পারবেন এবং আপনি বিনিয়োগকারীদের সামনেও উপস্থাপন করতে পারবেন যদি আপনার আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়।

ব্যবসা পরিকল্পনাটির নিম্নলিখিত বিভাগগুলো থাকার প্রয়োজন আছে:

কোম্পানী পরিচিতি- এটা আপনাকে গরুর খামারটির ইতিহাস এবং কি ধরনের গরুর খামার আপনি চালাবেন সে সম্পর্কে জানাবে। যেমন, আপনার খামারটি কি বাছুরের, দুগ্ধ, বা মাংস খামার হবে?

 নির্বাহী সারসংক্ষেপ- এটি আপনাকে আপনার সম্পূর্ণ ব্যবসা পরিকল্পনার একটি সারমর্ম দেবে যাতে যে কেউ এটা পড়ে আপনার গবাদিপশু খামারের মুল বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝতে পারে।

  শিল্প/বাজার বিশ্লেষণ- এখানে,আপনি গরু-খামার শিল্পের মূল তথ্যগুলো রাখুন। বাজার গবেষণা করুন। তারপর লিখে রাখুন শিল্পটির আকার, নতুন ধারাগুলো যা শিল্পটিকে প্রভাবিত করতে পারে, শক্তিশালী দিকগুলো, দূর্বলতাগুলো, সুযোগগুলো, এবং এই শিল্পের হুমকিগুলো।

   গ্রাহক/ভোক্তা বিশ্লেষণ- এখানে আপনি খুঁজে বের করবেন কারা আপনার নির্ধারিত বা আদর্শ গ্রাহক, এবং আপনার আদর্শ বা নির্ধারিত গ্রাহকদের সব প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো সংরক্ষণ করবেন এবং তাদের জনসংখ্যাবিষয়ক তথ্যাদি। যেমন, তাদের বয়স কত? তাদের বাসস্থান কোথায়? আপনার যে পণ্যগুলো আপনি বিক্রয় করতে যাচ্ছেন, সেগুলো কেনার সময় কোন বিষয়গুলো তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?

 প্রতিযোগী ‍বিশ্লেষণ- এখানে আপনি আপনার পরোক্ষ বা সরাসরি প্রতিযোগীদের সম্পর্কে তথ্য রাখবেন এবং কিভাবে একটি প্রতিযোগী সুবিধা তৈরী করবেন তাও রাখবেন।

বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা- আপনার বাজারজাতকরণ পরিকল্পনায় আপনাকে নিচের চারটি বিষয়কে স্পষ্ট করে তুলতে হবে:

Ø  পণ্য- সিদ্ধান্ত নিন এবং লিপিবদ্ধ করুন আপনি কি সেবা/পণ্যগুলো বিক্রয করতে যাচ্ছেন?

Ø  মূল্য- আপনার পণ্য/সেবাগুলোর মূল্য লিখে রাখুন।

Ø  স্থান- এটা আপনাকে জানাবে আপনার ব্যবসার অবস্থান এবং সেই সাথে তা কিভাবে আপনার ব্যবসাকে বিক্রয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

Ø  প্রচার- আপনি প্রচারের যে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করে গ্রাহকদের আপনার গরুর খামারটির দিকে আকৃষ্ট করবেন তা লিপিবদ্ধ করে রাখুন। যেমন, আপনি জনসংযোগ, লিফলেট, সামাজিক মাধ্যম বাজারজাতকরণ, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, পে-পার-ক্লিক বিজ্ঞাপন, এবং এমনি আরও কিছু প্রয়োগ করতে চাইতে পারেন।

ব্যবস্থাপনা গোষ্ঠী- এই অংশটি আপনার খামারের ব্যবস্থাপনা গোষ্ঠীর ব্যাকগ্রাউন্ড বা পটভূমি ধারণ করবে।

প্রয়োগগত পরিকল্পনা- এখানে আপনি আপনার ব্যবসার দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবেন। আপনার যদি কোনো কর্মীর প্রয়োজন হয়, তবে তাও আপনি লিখে রাখবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি একটি সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির সময়রেখা তৈরী করবেন যা আপনার ভবিষ্যৎ কাঙ্খিত লক্ষ্যগুলো দেখাবে।

আর্থিক পরিকল্পনা- শেষ কিন্তু অন্তত না, আপনার আর্থিক পরিকল্পনা নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবে:

Ø  আপনার ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমাণ খরচ হবে?

Ø  কিভাবে খামারটি টাকা আয় করবে?

Ø  আগামী পাঁচ বছরের জন্য আনুমানিক খরচ এবং বিক্রির পরিমাণ কি হবে?

Ø  আপনার কি ব্যবসা শুরু করার জন্য অর্থ ওঠানোর বা সংগ্রহের প্রয়োজন আছে?

২. আপনার গবাদিপশুর খামারটির নাম পছন্দ করুন:

আপনার ব্যবসাটির জন্য একটি উপযুক্ত নাম পছন্দ করুন যা হবে স্মরণীয় এবং অর্থপূর্ণ। নিচের টিপ বা উপায়গুলো বিবেচনায় রাখতে পারেন:

  • প্রাপ্য- খুঁজে দেখুন যে, আপনার পছন্দের নামটি প্রাপ্য আছে কিনা অর্থাৎ নামটি আপনার রাষ্ট্রের রেজিস্টার্ড ব্যবসাগুলোর নামের সাথে পরীক্ষা করে দেখুন যে নামটি আগেই কেউ ব্যবহার করে ফেলেছে কিনা।
  • সহজ- নামটি সাধারন বা সহজ রাখুন। সাধারণত: সবচেয়ে উপযুক্ত নামগুলো উচ্চারণ, বানান, এবং মনে রাখা সহজ হয়।
  • বাজারজাতকরণ ধারণা- এমন একটি নাম পছন্দ করুন যা আপনার ব্যবসা বা গবাদিপশুর খামারটিকে উপস্থাপন করে।

৩. একটি সম্পূর্ণ বাজার গবেষণা করুন:

বাজার গবেষণা একটি বেশ লম্বা প্রক্রিয়া যার জন্য প্রচুর প্রচেষ্টার প্রয়োজন। বাজারে এমন অনেক কোম্পানি আছে যা আপনার হয়ে এই গবেষণার কাজ করে দিতে পারে। এতে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে কিন্তু আপনার ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়াটি দ্রুততর করবে।

আপনি এটা নিজেও করতে পারেন। এটা নিজে করলে তা আপনাকে পুরো প্রক্রিয়াটি একেবারে মূল স্তর থেকে বুঝতে সাহায্য করবে।

নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার পণ্যটি কি হবে? এটা কি গরুর মাংস বা দুধ হবে? পণ্য নির্ধারণের পর, আপনার নির্ধারিত বাজার এবং নির্ধারিত গ্রাহকদের খুঁজে বের করুন। আপনার ব্যবসার ধারণাটির শক্তিশালী দিকগুলো, দূর্বলতা, সুবিধাগুলো, এবং হুমকিগুলোর একটি বিশ্লেষণ করুন।

আপনার জন্য এটা আরও সহজ করে দেয়া যাক। ধরা যাক, আপনার পণ্য হলো দুধ কিন্তু আপনার এলাকায় তেমন দুগ্ধ শিল্প নেই বা স্থানীয় চাহিদা নেই। এমন পরিস্থিতি একে অন্যান্য জায়গায় স্থানান্তর করতে অসুবিধার সৃষ্টি করে, এভাবে আপনার খরচও বাড়িয়ে দেয়।

আবার, গরুর মাংসের ক্ষেত্রে, সবসময়ই কিছু স্থানীয় চাহিদা পাওয়া যায়। শুধুমাত্র কিছু ধর্মীয় কারণে অনেকে গরুর মাংস খায় না, তবে সেটা কিছুটা বিরল।

দুধ উৎপাদনও একটি এমন ব্যবসা যা সারা বছর চলতে পারে যদি বাজারে চাহিদা থাকে।

৪. যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হতে পারেন তা জানুন

আমরা ইতিমধ্যেই লাভ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি, কিন্তু চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে আরও জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যখন সমস্যাগুলো জানবেন, আপনি সেগুলো মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত থাকবেন। এভাবে, আপনার গরুর খামারটি আরও শক্তপোক্ত বা টেকসই হবে।
আপনি যে প্রচলিত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হবেন-

  • হঠাৎ গরুর খাবারের মূল্য বুদ্ধি
  • মহামারীর পর অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি
  • সরবরাহ এবং চাহিদার ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল বাজার পরিস্থিতি
  • মুদ্রাস্ফীতি
  • গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সমস্যা এবং রোগ
  • দূর্যোগপূর্ণ বা প্রতিকূল আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ
  • গবাদি পশুর মূল্যহ্রাস, বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসবে
  • অবাঞ্জিত পরিস্থিতি যেমন যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রভৃতি।

৫. আপনার বাজেট সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করুন

আপনাকে সবসময় বাজেটের কথা মাথায় রাখতে হবে। কারণ বাজেট হলো যেকোন ব্যবসার জন্য একটি প্রধান চালিকাশক্তি তা সে সেবা বা পণ্যভিত্তিক ব্যবসা হোক। যেকোন ব্যবসার জন্যই প্রাথমিক একটা মূলধনের প্রয়োজন। কিন্তু এটাই শেষ না। আপনাকে আপনার প্রাথমিক মূলধনের থেকে আরও বেশী খরচ বহন করতে হবে। প্রতিদিনের দৈনিক খরচ বহন করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।

এখন আপনি জানতে চাইতে পারেন বাজেটটা কি? এটার উত্তর দেয়াটা আসলেই কঠিন কারণ এটা নির্ভর করবে আপনার ওপর। একটি ছোটো গরুর খামার শুরু করতে ১০ লাখ টাকা একটি ভালো অংক। একটি ছোটো অংক দিয়েই শুরু করা সম্ভব। সেই খরচগুলো কি এবং আপনার বাজেট কোথায় খরচ হবে?

  • গবাদি পশুর জন্য থাকার জায়গা তৈরী করা
  • গবাদি পশু ক্রয় করা
  • গো-খাদ্যের খরচ
  • খাবার এবং পানি খাওয়ানোর জন্য পাত্র
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের বেতন
  • টিকা এবং ওষুধের খরচ
  • চারণভূমির খরচ

আপনার আরও অন্যান্য কিছু খরচ থাকবে যেমন বিদ্যুৎ বিল যদি বিদ্যুৎ থাকে। একটি প্রায় ২০০ কেজি ওজনের গরু ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার খাবার খেতে পারে। বাজেট করার সময় খেয়াল রাখুন যে আপনি সব ধরনের খরচই হিসাব করছেন যদিও তা হয় খুবই সামান্য পরিমাণের। আর মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখুন কারণ বিশ্ব অর্থনীতি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে মহামারীর কারণে, এবং অন্যান্য অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি যেমন, যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এবং এমনই আরও অনেক কিছু।

৬. বাজেটের উৎস খুঁজে বের করা

আপনার নিজস্ব কিছু সঞ্চয় থাকতে পারে। যদি সেটা আপনার জন্য যথেষ্ট না হয় তবে আপনি আপনার মূলধন কোথায় পাবেন? একটি ব্যবসা শুরু করার সময় বিশেষ করে যদি আপনার কোনো আর্থিক সমস্যা থাকে, তবে সম্ভবত: এটাই প্রথম জিনিস যা আপনার মাথায় আসবে। সেক্ষেত্রে আপনার একটি ঋণের প্রয়োজন হতে পারে।

ব্যাংক ঋণের একটি ভালো উৎস হতে পারে কিন্তু উঁচু হারে সুদ চাইতে পারে। তাদের দেনাদারদের প্রতি শিথিলতাও কম। সেজন্য, আপনার বন্ধু ও পরিবার, এনজিও, এবং স্থানীয় সমবায় সমিতির কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করতে হবে। একজন ছোটো উদ্যোক্তার জন্য তাদের নিয়মনকানুন একটি আর্থিক সেবা প্রদানকারী যেমন ব্যাংকের থেকে ভালো হবে।

কিভাবে ব্যাংক ঋণ নেবেন?

কিন্তু আপনি যদি কোনো সহজ উৎস থেকে বাজেটের ব্যবস্থা না করতে পারেন তাহলে আপনাকে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য নিতে হবে। আপনি হয়তো ব্যাংক ঋণ নেয়ার কঠিন নিয়মকানুনগুলোর কথা ভাবছেন। চিন্তিত হবেন না। আসুন, একটি ব্যাংক ঋণ নিতে মূল যে কাগজপত্রগুলো লাগবে তা জেনে নেই-

  • আবেদনকারী এবং গ্যারান্টার উভয়েরই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • আপনার দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • গ্যারান্টারের এক কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • কর ফেরত/ আয় কর ছাড়পত্র/ আবেদনকারীর কর স্বীকৃতি রশিদ (৫ লক্ষের থেকে বেশী পরিমাণ ঋণের ক্ষেত্রে)
  • ৬-১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • চাকুরীজীবীদের ক্ষেত্রে, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি বেতনের সনদপত্র।
  • ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে, গত দুই বছরেরে জন্য কার্যকর ট্রেড লাইসেন্স ‍এবং ইনকাম স্টেটমেন্ট বা আয় পত্র।

· বাড়ী/ফ্ল্যাট মালিকদের ক্ষেত্রে, আবেদনকারী/স্ত্রী বা স্বামী/পিতামাতার নামে বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল/ মিউনিসিপাল হোল্ডিং কর রশিদ/মিউটেশন পার্চা/ ভাড়ার রশিদ।

৭. একটি স্বল্প খরচের অবস্থান খুঁজে বের করুন

আপনার যদি মূলধন থাকে তবে আপনি যেকোন জায়গায় একটি গরুর থাকার ছাউনি তৈরী করতে পারেন। কিন্তু আমরা এখানে আপনি কিভাবে কম বিনিয়োগে একটি গরুর খামার শুরু করবেন সে সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছি।

শহর এবং উন্নত এলাকাগুলোতে জমি এবং সম্পত্তির মূল্য সাধারণত অনেক বেশী। অবশ্যই, এ ধরনের জায়গাগুলো বেশী ভালো কারণ সেখানে বিদ্যুৎ, যাতায়াত এবং যোগাযোগ সহজতর ।

কিন্তু এটা আপনার সামর্থের মধ্যে নয় কারণ বিনিয়োগ স্বল্প। আপনার গরুর ছাউনি বানাবার জন্য তাই গ্রাম্য এলাকা এবং বিভিন্ন দুর্গম এলাকাগুলো খুঁজে নিতে পারেন।

আপনি যদি জমি কিনতে পারেন তবে খুব ভালো। কিন্তু যদি সবচেয়ে কম দামের জমিটাও যদি আপনার বাজেটের মধ্যে না হয় তবে? চিন্তা নেই! বাংলাদেশের গ্রামগুলোত আপনি কিছু ভালো জমি লিজিং অফার পাবেন যেগুলো আসলেই খুবই কম খরচের।

এলাকার উপর ভিত্তি করে, নিয়ম এবং শর্তগুলো বিভিন্ন হতে পারে কিন্তু এগুলোর বেশীর ভাগই বেশ ক্রেতা বান্ধব।

আপনি একটি জমি না কিনে লিজ নিলে অনেক টাকা বাঁচাতে পারবেন। এটা আপনাকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আরও বেশী টাকা খরচ করার সুযোগ করে দেবে।

এক্ষেত্রে, আমার মতামত হবে জমি লিজ নেয়া। সত্যি বলতে, আপনি একটি ছোট বিনিয়োগ দিয়ে একটা জমি কিনতে পারবেন না।

৮. আপনার গরুর খামারের আইনি কাঠামো নির্বাচন করুন

আপনার খামারটির আইনি কাঠামো নির্বাচন করুন, এটা কি একক মালিকানার, সীমিত দায় কোম্পানি, অংশীদারী, না অন্য কোন ধরনের। এই সব আইনি কাঠামোগুলোর নিজস্ব নিয়মকানুন এবং শর্তাবলী রয়েছে। আপনাকে সেগুলো ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।

৯. আপনার গরুর খামারটি এনবিআরের অধীনে রেজিস্টার করুন

আপনার খামারটি করের জন্য জোনাল কর বিভাগে রেজিস্টার করুন, যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে। আপনি সেখান থেকে আপনার ব্যবসার জন্য একটি ট্যাক্স আইডি বা কর সনাক্তকরণ সংখ্যা পাবেন। এর জন্য আপনার কোনো খরচ হবে না এবং প্রায় চার দিন সময় লাগবে।

১০. আপনার খামারের ব্যাংক অ্যাকাউ্ন্ট খুলুন

আপনার খামারের জন্য একটি ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাটা প্রয়োজনীয়। এটা একটা সহজ প্রক্রিয়া এবং এর জন্য এই ধাপগুলোর প্রয়োজন হবে:

  •  আপনার পছন্দের ব্যাংকটি খুঁজে বের করুন এবং যোগাযোগ করুন।
  • আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করুন এবং জমা দিন (সাধারণত এর মধ্যে পড়ে, আপনার ব্যবসার আর্টিকেলস্ অফ ইনকরপোরেশন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট, বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, এবং ঠিকানার প্রমাণ)
  • আবেদনটি পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিন।
  • যদি আপনি ব্যবসার প্রয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করতে চান তবে একজন ব্যাংকারের সাথে পরামর্শ করুন এবং তার সাথে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

১১. প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং ব্যবসার লাইসেন্সগুলোর ব্যবস্থা করুন

একটি গরুর খামার আইনিভাবে চালাতে চাইলে কিছু অনুমতি এবং লাইনসেন্স লাগবে যেমন: যোনিং পার্মিট বা এলাকাভিত্তিক অনুমতি, একটি ব্যবসায়িক লাইসেন্স, পশুর স্বাস্থ্য সনদ, এবং একটি কসাইখানা খোলার লাইসেন্স।

১২. গরুর খামারটির জন্য উপযুক্ত সবরঞ্জাম লিয নিন বা কিনুন

আপনার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো নির্ভর করবে আপনার খামারের আকার, সুযোগ-সুবিধা , এবং গবাদিপশুর ধরনের ওপর। কিছু মূল ধরনের সরঞ্জাম হতে পারে জলাধার, খাদ্যাধার বা খাবারের বড় পাত্র, গবাদি পশু শঙ্কু, এবং বেড়া যাতে আপনার গরুগুলো আপনার এলাকা বা সম্পত্তি ছেড়ে যেখানে সেখানে ঘুরে না বেড়ায়।

১৩. ছাউনিটি যথাযথভাবে তৈরী করুন

একটি ভালো ছাউনি তৈরী করাটা জরুরী কারণ এখানেই আপনার বিনিয়োগ বেড়ে উঠবে। একটি গরুর থাকার জায়গাকে প্রায়ই ছাউনি বলা হয়। ছাউনিটি তৈরী করার আগে, আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কয়টা গরু এবং কোন জাতের গরু সংগ্রহ করবেন। কারণ বিভিন্ন ধরনের জাতের জন্য বিভিন্ন পরিমাণের জায়গার প্রয়োজন হয়।

যেমন, স্থানীয় বাংলাদেশী গরুগুলো আকারে বেশী বড় নয়, যেখানে কিছু বিদেশী জাতের গরুগুলো একটি স্থানীয় জাতের গরু থেকে আকারে প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ হয়। এমনকি পরিবেশটাও গরুদের জন্য উপযুক্ত হতে হবে। নইলে, তারা আপনার কাঙ্খিত ফলাফল উৎপাদন করতে পারবে না। যদি আপনার নির্বাচিত স্থানের তাপমাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশী বা কম হয়, তবে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে নির্মাণ সামগ্রীগুলো যেন পরিবেশটিকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। যদি অবস্থানটি প্রাকৃতিক-দূর্যোগ প্রবণ হয়, তবে প্রতিটি প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন যেমন খাবার এবং ওষুধ জমা করে রাখা। বাংলাদেশে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় খুবই প্রচলিত। সেজন্য, ইট এবং সিমেন্ট সীটের তৈরী বাড়ী গরুদের জন্য নিরাপদ হবে। বিশেষ করে, বিদেশী জাতের গরুদের আরও যত্ন এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রয়োজন হবে। যদিও বাংলাদেশী গরুরা আমাদের আবহাওয়ার সাথে অভ্যস্ত এবং তাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন নেই।

১৪. উপযুক্ত গবাদি পশুর জাত নির্বাচন করুন

প্রতিটি জাতেরই তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভাস, সন্তানসন্ততি, এবং সুবিধা, অসুবিধা থাকে। এই অংশটি আপনার জন্য একটু কৌশলের হবে কারণ বাংলাদেশে বহু জাতের গরু আছে।

 বাংলাদেশে মিশ্র প্রজাতির অনেক গরু আছে কিন্তু তাদের জাত বা আসল প্রজাতি বোঝাটা কঠিন। কারণ খামারিরা প্রজাতি সম্পর্কে লিখে রাখে না বা কোনো তথ্য রাখেনা। তবুও গবাদি পশুর বাহ্যিক চেহারা এবং বৈশিষ্ট্য দেখে তাদের প্রজাতি সম্পর্কে ধারণা করাটা সম্ভব।

 যদি আপনার অনেক বেশী বিনিয়োগ না থাকা সত্ত্বেও জ্ঞান থাকে, তবে আপনি শুরু করতে পারেন। নতুবা, অল্প জ্ঞান একটি বিশাল পরিমাণের বিনিয়োগকেও সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিতে পারে।

অনেক স্থানীয় প্রজাতি আছে যেমন পাবনার গরু, উত্তর বঙ্গের, লাল চট্টগ্রাম, মিরবকাদিম, সাহিওয়াল, সিন্ধি, স্থানীয় জাতের হলস্টেইন ফ্রিসিয়ান।

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গরুর প্রজাতির সম্পর্কে জানতে শুরু করুন। এদের কিছু মাংস উৎপাদনের জন্য ভালো, আর অন্যগুলো দুধ উপাদনের জন্য ভালো। সেজন্য, সিদ্ধান্ত নিন যে আপনার গরুর খামারের পণ্য কি হবে।

আপনি যদি বাজার, এবং আপনার নির্বাচিত পণ্য সম্পর্কে কোনোরকম জ্ঞান ছাড়া একটি কৃষি-ব্যবসা শুরু করেন তবে কিছু সময় পর আপনার ব্যবসা ধ্বংস হতে বাধ্য।

১৫. পশুপালনক্ষেত্র ব্যবস্থাপনা

গরুদের একটি পশুপালনক্ষেত্র বা চারণভূমির ব্যবস্থা করে দেয়াটা আপনার খামারের সাথে একটি সুন্দর সংযোজন হতে পারে। চারণভূমি গবাদিপশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয়। এমন অনেক খামার আছে গবাদিপশুদের সারা জীবনের জন্য ঘরের মধ্যে রাখা হয়।
আপনি খামারের জন্য কিছু উঁচু মানের ঘাস, খড়, এবং অন্যান্য খাদ্য শস্য জন্মাতে পারেন যা অনেক পরিমাণে আপনার খাবারের খরচ কমিয়ে দেবে।
এখন কিছু খাদ্যশস্য একইসাথে একই জমিতে রোপণ করা যায়। সেই পদ্ধতিগুলো জানা এবং শেখার চেষ্টা করুন।

১৬. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লাভজনক করে তুলুন

গরুরা অনেক খায়, তাই তারা অনেক বর্জ্যও উৎপন্ন করে। জৈবনিরাপত্তার জন্য বর্জ্য পরিষ্কার করাটা জরুরি।

গরুর খামারে বর্জ্য পুনর্ব্যবহৃত হতে পারে এবং এটা আপনার লাভ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। গোবর বা গরুর বর্জ্য বিভিন্ন ধরনের জৈব সার বা জৈব কম্পোস্ট তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। এটা ভূমির উর্বরতা বাড়াতে খুব উপকারী। জৈব সারের বাজারে একটা বড় চাহিদা আছে।

যদি যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি ব্যবসার একটি লাভজনক দিক হতে পারে।

১৭. একজন পশু চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন

আপনার খামারটি যতো ছোটই হোক না কেনো, এটা আপনার কাছে অনেক মূল্যবান কারণ আপনি এখানে বিনিয়োগ করেছেন। সেজন্য লক্ষ্যটা সবসময়ই হচ্ছে লাভ করা। গবাদিপশুর খামারে রোগ খুবই ছোয়াচে এবং কোনো কোনো সময় মারাত্মকও হতে পারে।পশুরা শুরুতে তাদের লক্ষণগুলো দেখায় না। যখন তা দেখা যায়, তখন ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। সেজন্য একজন পশুচিকিৎসক দ্বারা নিয়মিত পর্যবেক্ষন খুবই জরুরি। সব টিকা এবং ওষুধগুলো সবসময়ই একজন বিশেষজ্ঞ বা দক্ষ পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে দেয়া উচিত। রোগ প্রতিরোধে এবং সর্বোচ্চ জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে অনেক মানুষ আছে যারা গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগীদের চিকিৎসা দেয়। তারা সনদপ্রাপ্ত পশুচিকিৎসক নন। তাদের কোনো মতে কিছু প্রাথমিক শিক্ষা আছে এবং তারা পশুদের চিকিৎসা দিতে শুরু করে। এটা খুবই প্রচলিত যে ভুল চিকিৎসা গৃহপালিত পশুদের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।
এ ধরনের অদক্ষ লোকদের থেকে আপনি দূরে থাকুন। যদিও তারা কিছু সমস্যার সমাধান দিতে পারে, তবুও তাদের সাথে কাজ করলে সবসময় কিছু ঝুঁকি রয়েই যায়।

১৮. আপনার আয় এবং ব্যয়গুলো আপডেটেড রাখুন

আপনার সব আয় এবং ব্যয়গুলোর দৈনিক হিসাব রাখুন। সেই দিন চলে গিয়েছে, যখন আমরা হিসাব সংক্রান্ত সবকিছু লিখে রাখতাম। দিন পাল্টে গিয়েছে। এখন কিছু সফটওয়্যার পাওয়া যায় যার সাহায্যে আপনি আপনার হিসাবগুলোর খোঁজ রাখতে পারেন।

 

১৯. যদি প্রয়োজন হয় তবে স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন

আপনি খুঁজলে আপনার এলাকায় অনেক কৃষি খামার পাবেন। সেগুলোর সবাই হয়তো বড় গরু খামারি হবেন না কিন্তু তারা তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি একজন স্থানীয় অভিজ্ঞ কৃষি খামারি পেয়ে যান তবে তা হবে আপনার জন্য আশীর্বাদ।
বাংলাদেশে বেশীর ভাগ গ্রামের লোকদের গবাদি পশু আছে। যদিও তাদের গবাদিপশুর সংখ্যা কম তবুও তাদের কাছে থেকে আপনি কিছুটা ধারণা পেতে পারেন। কিছু পরিবারের সাথে আপনি পশু পালন এবং দুধ উৎপাদন সম্পর্কে কথা বলুন।

২০. শুরু করতে প্রস্তুত

এখন, আপনি আপনার গরুর খামার শুরু করার জন্য প্রস্তুত। শুধু এই উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন এবং আপনি আপনার কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

২১. কঠোর পরিশ্রম করুন এবং আশাবাদী থাকুন

আপনার প্রচুর অর্থ এবং সম্পদ নেই। আপনার যা আছে তা হলো কঠোর পরিশ্রম এবং আশা। সবকিছু সবসময় পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না। নিরাশ হবেন না যদি আশানুরূপ ফলাফল না পান। ধৈর্য্য ধরুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন, সাফল্য একদিন না একদিন ধরা দেবেই।

শেষ কথা

একটা ব্যবসা শুরু করা কঠিন এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আপনি যখন একটি গরুর খামার শুরু করছেন, তখনও ব্যাপারটা একইরকম, এবং আপনি অনেক অজানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যখন আপনি সত্যি একটি খামার করা শুরু করবেন, আপনি অনেক নতুন সুবিধা এবং অসুবিধা খুঁজে পাবেন। এই বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়ে, আপনি অবশ্যই কিভাবে স্বল্প বিনিয়োগে বাংলাদেশে একটি গরুর খামার শুরু করবেন সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন।
তাই এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যান এবং আপনার গরুর খামার এখনি শুরু করুন। শুভ কামনা রইলো!!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *